সকালে ব্যায়াম করার আগে কি খাওয়া উচিত
সকালে ব্যায়াম করার আগে কি খাওয়া উচিত এর সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন কিন্তু সঠিক তথ্য পাচ্ছেন না আর সঠিক তথ্য পেতে এবং এর সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা দেখতে আরো জিম করার আগে কি খাওয়া উচিত এর সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
সকালে ব্যায়াম করার আগে কি খাওয়া উচিত জিম করার আগে কি খাওয়া উচিত এর সম্পর্কে বিস্তারিত সবকিছু জানতে নিচের আর্টিকেলগুলি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আশা করি এর সম্পর্কে বিস্তারিত সবকিছু বুঝতে পারবেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ
- সকালে ব্যায়াম করার আগে কি খাওয়া উচিত
- জিম করার আগে কি খাওয়া উচিত
- জিম করার পরে কি খাওয়া উচিত
- ব্যায়ামের আগে ও পরে কি খাওয়া উচিত
- জিম করার পর কাঁচা ছোলা খেলে কি হয়
- ব্যায়াম করার কতক্ষণ পর পানি খাওয়া উচি
- ব্যায়াম করার পর শরীর ব্যাথা
- ব্যায়াম করার কতক্ষণ পর খাওয়া উচিত
- ব্যায়াম করার কতক্ষণ পর গোসল করা উচিত
- লেখক এর মতামত
সকালে ব্যায়াম করার আগে কি খাওয়া উচিত
সকালে ব্যায়াম করার আগে কি খাওয়া উচিত সকালে ব্যায়াম করার আগে খাবার খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি আপনার শক্তির স্তর বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং শারীরিক কার্যকলাপের জন্য প্রস্তুত করে। তবে, ব্যায়াম শুরু করার অন্তত ৩০-৬০ মিনিট আগে হালকা খাবার খাওয়াই ভালো। কিছু পরামর্শ:
কার্বোহাইড্রেট: ব্যায়াম করার জন্য শরীরকে শক্তির প্রয়োজন, আর এই শক্তি আসে মূলত কার্বোহাইড্রেট থেকে। ফলমূল যেমন: কলা, আপেল, বা মিষ্টি আলু ভালো অপশন হতে পারে। এগুলি সহজে হজম হয় এবং শরীরকে দ্রুত শক্তি প্রদান করে। প্রোটিন: প্রোটিনও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি পেশী পুনর্নির্মাণে সাহায্য করে।
কিছু প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবার যেমন: দই, গ্রীক দই, অথবা একটা ছোট স্যান্ডউইচ (গ্রিন শাক বা পিনাট বাটারসহ) খেতে পারেন। হালকা ও সহজে হজমযোগ্য খাবার: খুব ভারী বা তেলযুক্ত খাবার ব্যায়াম করার আগে খাওয়া উচিত নয়, কারণ তা হজমে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এবং ক্লান্তি অনুভব করাতে পারে।
কিছু ভালো খাবারের উদাহরণ: ১টি কলা বা আপেল + ১ টুকরো বাদাম গ্রীক দই ও মধু ওটমিল (এতে প্রোটিন ও ফাইবার থাকে) সোজা প্রোটিন শেক (যদি আপনার দ্রুত শক্তির প্রয়োজন হয়) ব্যায়ামের পরে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে ভুলবেন না।
জিম করার আগে কি খাওয়া উচিত
জিম করার আগে কি খাওয়া উচিত জিম করার আগে খাবারের বিষয়ে কিছু পয়েন্ট মাথায় রাখা জরুরি, কারণ সঠিক খাবার আপনার শক্তি বজায় রাখতে এবং কার্যকরীভাবে ট্রেনিং করতে সাহায্য করে। সাধারণভাবে, জিমে যাওয়ার ৩০-৬০ মিনিট আগে খাবার খাওয়া উচিত, যাতে আপনার শরীর যথাযথভাবে প্রস্তুত হয়।
এখানে কিছু খাবারের পরামর্শ দেওয়া হলো: কার্বোহাইড্রেট (Energy source): কার্বোহাইড্রেট আপনার শরীরকে দ্রুত শক্তি সরবরাহ করে, যা জিমে ট্রেনিংয়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফল: কলা, আপেল, কমলা ওটস: ওটমিল বা সেদ্ধ ওটস পাউরুটি বা ব্রাউন রাইস: হালকা টোস্ট বা এক পিস ব্রাউন রাইস
প্রোটিন (Muscle repair): প্রোটিন পেশী গঠনে সাহায্য করে। যদিও প্রধান প্রোটিন খাবার জিম শেষে নেওয়া উচিত, তবে হালকা প্রোটিন খাবারও আগে নেওয়া যেতে পারে। গ্রীক দই বা দই: পুষ্টিকর এবং সহজে হজমযোগ্য অণ্ড: সেদ্ধ ডিম মাছ বা চিকেন: তবে এটি আপনি প্রয়োজন অনুযায়ী খাবেন, যদি খুব তাড়াতাড়ি ব্যায়াম শুরু না করেন।
হালকা ও সহজে হজমযোগ্য খাবার: পিনাট বাটার বা আলমন্ড বাটার (পাউরুটির সাথে) স্ট্রবেরি বা ব্লুবেরি এর মতো ফলমূল গ্রানোলা বার বা এনার্জি বার পানি ও হাইড্রেশন: জিমে যাওয়ার আগে পর্যাপ্ত পানি পান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যাতে আপনি ডিহাইড্রেশন থেকে রক্ষা পান। সকালে ব্যায়াম করার আগে কি খাওয়া উচিত।
কিছু উদাহরণ: কলার সঙ্গে পিনাট বাটার টোস্ট গ্রানোলা বার এবং দই ওটস, মধু, এবং ফল প্রোটিন শেক (যদি সময় কম থাকে এবং দ্রুত শক্তি প্রয়োজন) এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, খাবারের পরিমাণ যেন খুব বেশি না হয়, কারণ ভারী খাবার হজমে সমস্যা তৈরি করতে পারে এবং ট্রেনিংয়ের সময় অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে।
জিম করার পরে কি খাওয়া উচিত
জিম করার পরে কি খাওয়া উচিত জিম করার পরে সঠিক খাবার খাওয়া পেশী গঠনে সাহায্য করে এবং আপনার শরীরের পুনরুদ্ধারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ট্রেনিং শেষে শরীরের পেশীগুলোর জন্য প্রোটিন এবং শক্তির জন্য কার্বোহাইড্রেটের প্রয়োজন হয়। এছাড়াও পানি ও ইলেকট্রোলাইট পুনরুদ্ধারের জন্য প্রয়োজন।
সুতরাং, জিম করার পর কিছু গুরুত্বপূর্ণ খাবার রয়েছে: প্রোটিন (Muscle Repair) পেশী গঠন এবং পুনরুদ্ধারে প্রোটিনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ব্যায়ামের পর শরীরের পেশী টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং প্রোটিন পেশী পুনর্নির্মাণে সাহায্য করে। চিকেন (গ্রিলড বা সেদ্ধ) মাছ (স্যালমন বা টুনা) ডিম (সেদ্ধ বা অমলেট)
গ্রীক দই (হালকা মিষ্টি, মধু যোগ করে খেতে পারেন) প্রোটিন শেক (ওয়েই প্রোটিন বা প্ল্যান্ট-বেসড প্রোটিন) কার্বোহাইড্রেট (Energy Replenishment) ব্যায়াম করার সময় আপনার শরীর তার শক্তির উৎস (গ্লাইকোজেন) ব্যবহৃত করে। তাই কার্বোহাইড্রেট খাওয়া প্রয়োজন, যাতে শরীরের শক্তির স্তর পুনরুদ্ধার হয়।
ব্রাউন রাইস বা কুইনোয়া ওটস সাদা আলু বা মিষ্টি আলু ফলমূল: কলা, আপেল, বা বেরি (স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি) হাইড্রেশন (Water and Electrolytes) জিম করার পর শরীরের পানি এবং ইলেকট্রোলাইটের প্রয়োজন হয়। হাইড্রেটেড থাকা শরীরের পুনরুদ্ধারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। পানি: পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
কোকোনাট ওয়াটার: এটি প্রাকৃতিকভাবে ইলেকট্রোলাইট সরবরাহ করে। ইলেকট্রোলাইট সাপ্লিমেন্ট: কিছু সময়ের জন্য, বিশেষ করে যদি আপনি দীর্ঘ সময় ধরে হাই ইন্টেনসিটি ট্রেনিং করেন, ইলেকট্রোলাইট সাপ্লিমেন্ট নিতে পারেন। ভিটামিন ও মিনারেল (Micronutrients)
ব্যায়াম পরবর্তী পুনরুদ্ধারের জন্য ভিটামিন ও মিনারেলও গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন C এবং E পেশী সঞ্চালনে সাহায্য করে। সবজি: শাকসবজি, ব্রকলি, পালং শাক ফলমূল: অরেঞ্জ, বেরি, আপেল কিছু উদাহরণ: গ্রিলড চিকেন বা মাছ + ব্রাউন রাইস বা কুইনোয়া গ্রীক দই + ফল + বাদাম প্রোটিন শেক + কলা ডিম ও মিষ্টি আলু
এছাড়া, জিম করার পর ৩০ থেকে ৪৫ মিনিটের মধ্যে খাবার খাওয়া ভালো, কারণ এ সময় পেশী গঠন এবং পুনরুদ্ধারের জন্য শরীর সবচেয়ে ভালোভাবে উপকার পায়। সকালে ব্যায়াম করার আগে কি খাওয়া উচিত।
ব্যায়ামের আগে ও পরে কি খাওয়া উচিত
ব্যায়ামের আগে ও পরে কি খাওয়া উচিত ব্যায়াম করার আগে ও পরে সঠিক খাবার খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি আপনার শক্তির স্তর এবং পেশী গঠনে সহায়ক। ব্যায়াম করার সময় শরীর অনেক শক্তি খরচ করে, তাই সঠিক পুষ্টি মেনে চলা প্রয়োজন। নিচে ব্যায়ামের আগে ও পরে কী খাওয়া উচিত, তা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো:
ব্যায়ামের আগে কী খাওয়া উচিত? ব্যায়ামের আগে শরীরকে পর্যাপ্ত শক্তি সরবরাহ করা প্রয়োজন, যাতে আপনি ব্যায়াম করতে সক্ষম হন। এই সময় আপনি কার্বোহাইড্রেট এবং প্রোটিনের সংমিশ্রণ খেতে পারেন, তবে খাবারের পরিমাণ খুব বেশি হবে না, যাতে হজমে সমস্যা না হয়। কার্বোহাইড্রেট (Energy Source):
কার্বোহাইড্রেট শরীরকে দ্রুত শক্তি দেয় এবং ব্যায়ামের জন্য প্রস্তুত করে। কলা, আপেল, কমলা ওটস বা গ্রানোলা সাদা রুটি বা ব্রাউন রাইস প্রোটিন (Muscle Maintenance): প্রোটিন পেশী গঠনে সাহায্য করে, তবে ব্যায়ামের আগে খুব বেশি প্রোটিন খাওয়া না ভালো, কারণ এটি হজমে সময় নেয়। গ্রীক দই, একটি সেদ্ধ ডিম, হালকা প্রোটিন শেক
পানি (Hydration): ব্যায়াম করার আগে পর্যাপ্ত পানি পান করুন, যাতে শরীর সঠিকভাবে হাইড্রেটেড থাকে। ব্যায়ামের আগে ৩০-৬০ মিনিটে হালকা খাবার খাওয়া ভালো। ব্যায়ামের পরে কী খাওয়া উচিত? ব্যায়ামের পরে শরীরকে শক্তি পুনরুদ্ধার, পেশী পুনর্নির্মাণ এবং হাইড্রেশন বজায় রাখতে সাহায্য করা প্রয়োজন।
পেশী গঠনের জন্য প্রোটিন এবং শক্তির জন্য কার্বোহাইড্রেট খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। প্রোটিন (Muscle Repair): ব্যায়ামের পর পেশী গঠনের জন্য প্রোটিন খাওয়া জরুরি। চিকেন, মাছ বা ডিম গ্রীক দই বা কাঠবাদাম বাটার প্রোটিন শেক কার্বোহাইড্রেট (Energy Replenishment): ব্যায়ামের পরে শরীরের শক্তির উৎস পুনরুদ্ধার করতে হবে।
যার জন্য কার্বোহাইড্রেট গুরুত্বপূর্ণ। ব্রাউন রাইস, কুইনোয়া বা সাদা আলু ফল (কলা, বেরি, আপেল) ওটস বা মিষ্টি আলু পানি এবং ইলেকট্রোলাইট (Hydration & Electrolytes): ব্যায়ামের পর শরীরের পানি এবং ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখা প্রয়োজন।
- পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
- কোকোনাট ওয়াটার বা ইলেকট্রোলাইট সাপ্লিমেন্ট নিতে পারেন।
- ব্যায়ামের পর ৩০-৪৫ মিনিটের মধ্যে খাবার খাওয়া উচিত।
- ব্যায়ামের আগে ও পরে কিছু খাবারের উদাহরণ:
- ব্যায়ামের আগে:
- কলা + বাদাম বাটার
- গ্রানোলা + গ্রীক দই
- সেদ্ধ ডিম + এক টুকরো রুটি
- পিনাট বাটার স্যান্ডউইচ
- ব্যায়ামের পরে:
- গ্রিলড চিকেন + ব্রাউন রাইস
- প্রোটিন শেক + কলা
- গ্রীক দই + ফল + মধু
- স্যালমন ফিশ + মিষ্টি আলু
এই খাবারগুলি আপনাকে শারীরিক কার্যকলাপের জন্য যথাযথ শক্তি এবং পুষ্টি সরবরাহ করবে, পাশাপাশি পেশী গঠনে সহায়তা করবে। সকালে ব্যায়াম করার আগে কি খাওয়া উচিত।
জিম করার পর কাঁচা ছোলা খেলে কি হয়
জিম করার পর কাঁচা ছোলা খেলে কি হয় জিম করার পর কাঁচা ছোলা খাওয়া আপনার স্বাস্থ্যের জন্য কিছু সুবিধা প্রদান করতে পারে, তবে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। কাঁচা ছোলা প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন এবং মিনারেলস সমৃদ্ধ, যা পেশী পুনর্গঠন এবং শরীরের শক্তি পুনরুদ্ধারে সহায়ক হতে পারে।
তবে, কাঁচা ছোলা খাওয়ার কিছু সুবিধা এবং সতর্কতা রয়েছে: কাঁচা ছোলা খাওয়ার উপকারিতা: প্রোটিন সরবরাহ: কাঁচা ছোলা প্রোটিনের ভালো উৎস, যা পেশী গঠনে সাহায্য করে। জিম করার পর পেশী টিস্যু পুনর্নির্মাণের জন্য প্রোটিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফাইবার এবং মিনারেলস: ছোলায় ফাইবার, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, এবং ফসফরাস থাকে।
যা শরীরের শক্তি বজায় রাখতে এবং পেশী পুনর্গঠনে সহায়ক। ভিটামিন বি: ছোলায় বিভিন্ন ভিটামিন বি (বিশেষ করে বি১, বি৩, বি৬) থাকে, যা মেটাবলিজম এবং শক্তি উৎপাদনে সাহায্য করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস: কাঁচা ছোলা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ, যা শরীরের সেল ক্ষতি প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।
কিন্তু কিছু সতর্কতা: হজমের সমস্যা: কাঁচা ছোলা খেলে কিছু লোকের হজমের সমস্যা হতে পারে, যেমন পেট ফাঁপা, গ্যাস, বা ডাইজেস্টিভ ডিসকমফোর্ট। কাঁচা ছোলায় কিছু শর্করা ও ফাইবার থাকে যা কিছু মানুষের জন্য হজমে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। অ্যালার্জি: কিছু মানুষ ছোলায় অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে।
যদি আপনি আগে কাঁচা ছোলা খেয়ে কোনো সমস্যা না দেখে থাকেন, তবে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। প্রসেসিং ও পরিশোধনের প্রয়োজন: কাঁচা ছোলায় কিছু পরিমাণে অ্যান্টিনিউট্রিয়েন্টস (যেমন ফাইটিক অ্যাসিড) থাকতে পারে, যা শরীরের পুষ্টি শোষণে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। তবে, আপনি যদি ছোলা সেদ্ধ করে খান।
তাহলে এই সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে এবং শরীর আরও ভালোভাবে পুষ্টি গ্রহণ করতে পারবে।পরামর্শ: কাঁচা ছোলা খাওয়ার আগে ভিজিয়ে রাখুন: কাঁচা ছোলা ভিজিয়ে রাখলে তাদের অ্যান্টিনিউট্রিয়েন্টস কিছুটা কমে যায় এবং হজম সহজ হয়। সেদ্ধ ছোলা: যদি হজমের সমস্যা থাকে।
তবে সেদ্ধ ছোলা খাওয়া ভালো। সেদ্ধ ছোলা পুষ্টি বজায় রেখে হজমে সহজ হয়।: জিম করার পর কাঁচা ছোলা খাওয়ার কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা থাকতে পারে, বিশেষ করে প্রোটিন এবং মিনারেলসের জন্য। তবে, হজমের সমস্যা এবং অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া হতে পারে, তাই কাঁচা ছোলা খাওয়ার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন আপনার শরীর এর সঙ্গে সঠিকভাবে মানিয়ে নেবে কিনা। সকালে ব্যায়াম করার আগে কি খাওয়া উচিত।
ব্যায়াম করার কতক্ষণ পর পানি খাওয়া উচি
ব্যায়াম করার কতক্ষণ পর পানি খাওয়া উচি ব্যায়াম করার পর পানি পান করার সময়ের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এর মাধ্যমে শরীরের হাইড্রেশন বজায় রাখা যায় এবং পেশী পুনরুদ্ধার সহ অন্যান্য শারীরিক প্রক্রিয়াও সহায়তা পায়। তবে, ব্যায়াম করার পর পানি পান করার জন্য সঠিক সময় এবং পরিমাণ জানা জরুরি।
ব্যায়াম করার পর পানি খাওয়ার জন্য সঠিক সময়: ব্যায়াম শেষ হওয়ার পর ১৫-২০ মিনিটের মধ্যে পানি পান করুন। ব্যায়াম করার সময় শরীর প্রচুর ঘাম ফেলে, ফলে শরীরের পানি এবং ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। এ সময় পানি পান করলে শরীর দ্রুত হাইড্রেটেড হতে পারে।
ব্যায়াম চলাকালীন পানি খাওয়ার পরামর্শ: যদি আপনি উচ্চমাত্রার বা দীর্ঘস্থায়ী ব্যায়াম (যেমন দীর্ঘ দৌড়, ওয়ার্কআউট) করছেন, তবে মাঝখানে কিছু পরিমাণ পানি পান করা উচিত। এটি শরীরের পানির পরিমাণ বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং ক্লান্তি কমায়। ব্যায়াম পরবর্তী পানি পান করার জন্য কিছু পরামর্শ:
পানি সিপে সিপে পান করুন: একসাথে অনেক পানি খাওয়া উচিত নয়, কারণ এতে আপনার পেট ভারী হতে পারে এবং অসুস্থ অনুভূতি হতে পারে। ধীরে ধীরে সিপে সিপে পানি পান করুন। ইলেকট্রোলাইট সাপ্লিমেন্ট: দীর্ঘ সময়ের ব্যায়াম বা বেশি ঘাম ফেলার পর আপনি কোকোনাট ওয়াটার বা ইলেকট্রোলাইট সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করতে পারেন।
কারণ এটি শরীরের ইলেকট্রোলাইট (যেমন সোডিয়াম, পটাসিয়াম) পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে। পর্যাপ্ত পানি পান করুন: সাধারণত, ব্যায়ামের পরে ৪৫০-৬০০ মিলিলিটার পানি পান করা উচিত, তবে এটি আপনার ঘামের পরিমাণ এবং ব্যায়ামের ধরন অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে। মনে রাখবেন: সকালে ব্যায়াম করার আগে কি খাওয়া উচিত।
ব্যায়াম করার আগে পানি পান করুন: শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে ব্যায়ামের আগে পর্যাপ্ত পানি পান করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনার কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। ধীরে ধীরে পান করুন: ব্যায়ামের পর অতিরিক্ত পানি দ্রুত খাওয়ার পরিবর্তে ধীরে ধীরে পান করুন, যাতে শরীর সঠিকভাবে পানি শোষণ করতে পারে। অতএব, ব্যায়াম করার পর ১৫-২০ মিনিটের মধ্যে পানি খাওয়া ভালো, এবং নিয়মিত হাইড্রেটেড থাকা নিশ্চিত করুন।
ব্যায়াম করার পর শরীর ব্যাথা
ব্যায়াম করার পর শরীর ব্যাথা ব্যায়াম করার পর শরীরে ব্যথা হওয়া একটি সাধারণ ঘটনা, যা ডোমস (DOMS - Delayed Onset Muscle Soreness) নামে পরিচিত। এটি সাধারণত ব্যায়াম শেষ হওয়ার ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ঘটে এবং পেশীতে ব্যথা বা অস্বস্তি সৃষ্টি করে। এই ব্যথা সাধারণত তখনই ঘটে যখন আপনি নতুন কোনো ব্যায়াম শুরু করেন।
অতিরিক্ত পরিশ্রম করেন বা নতুন কোনও পেশী ব্যবহার করেন যা আগে খুব বেশি কাজ করেনি। ব্যায়াম করার পর শরীরে ব্যথার কারণ: পেশী ফাইবারের ক্ষতি: ব্যায়ামের সময় পেশী ফাইবারে মাইক্রোস্কোপিক ক্ষতি হয়। পেশীগুলি পুনর্গঠন এবং শক্তিশালী হওয়ার জন্য কিছু সময় নেয়, এবং এই সময়ে ব্যথা অনুভূত হয়।
ব্যায়ামের ধরন ও ইনটেনসিটি: ভারী ওয়েট ট্রেনিং বা উচ্চ-ইনটেনসিটি ব্যায়াম করলে পেশী বেশি চাপের মধ্যে পড়ে, ফলে ব্যথা অনুভূত হয়। অচেনা ব্যায়াম বা টেকনিক: নতুন কোনো ব্যায়াম শুরু করা বা ভুলভাবে কোনো ব্যায়াম করা থেকেও এই ব্যথা হতে পারে। ব্যায়ামের পর শরীর ব্যথা হলে কী করবেন?
বিশ্রাম ও পুনরুদ্ধার: পেশীকে কিছু সময় বিশ্রাম দিতে হবে যাতে সেগুলি পুনরুদ্ধার হতে পারে। তবে, পুরোপুরি বিশ্রামে না গিয়ে হালকা স্ট্রেচিং বা হাঁটা করতে পারেন যাতে পেশীগুলি বেশি স্টিফ না হয়ে যায়। হালকা স্ট্রেচিং বা ম্যাসেজ: হালকা স্ট্রেচিং পেশীর নমনীয়তা বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং ব্যথা কমাতে সহায়ক হতে পারে।
পেশী ম্যাসাজ বা ফoম রোলিং (foam rolling) করার মাধ্যমে ব্যথা কমানোর চেষ্টা করতে পারেন। তাপ বা ঠাণ্ডা প্রয়োগ: ব্যথা বা প্রদাহ কমানোর জন্য ঠাণ্ডা সেঁক ব্যবহার করতে পারেন (যেমন আইস প্যাক)।তাপ সেঁক (যেমন গরম পানি বা হট প্যাড) ব্যবহার করলে পেশীর সঞ্চালন উন্নত হয় এবং পেশী শিথিল হয়।
পানি ও পুষ্টি: প্রচুর পানি পান করুন যাতে শরীর হাইড্রেটেড থাকে এবং পেশীগুলি পুনর্গঠন হয়। প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেটসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার মাধ্যমে পেশী পুনর্গঠনের প্রক্রিয়াটি সহায়তা করবে। আলাদা আলাদা পেশীতে ফোকাস করা: প্রতিদিন একই পেশীতে অতিরিক্ত চাপ না দেওয়ার জন্য। সকালে ব্যায়াম করার আগে কি খাওয়া উচিত।
বিভিন্ন পেশী গ্রুপে আলাদা আলাদা দিনে ফোকাস করুন। এর ফলে, এক পেশীতে অতিরিক্ত চাপ না পড়লেও শরীরের অন্যান্য অংশে কাজ করা যাবে। ব্যথা কবে চিন্তার বিষয় হতে পারে? যদি ব্যথা খুব বেশি থাকে, দীর্ঘস্থায়ী হয় (৩-৫ দিন বা তার বেশি), অথবা একাধিক পেশীতে তীব্র ব্যথা বা ফুলে যাওয়া থাকে।
তাহলে আপনি চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন। এটি হতে পারে কোনো গুরুতর চোটের লক্ষণ।ব্যায়ামের পর পেশীতে ব্যথা হওয়া স্বাভাবিক এবং এটি শরীরের পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার অংশ। তবে, যদি ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হয় বা অসহনীয় হয়ে থাকে, তাহলে আপনার উচিত বিশ্রাম নেওয়া এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।
ব্যায়াম করার কতক্ষণ পর খাওয়া উচিত
ব্যায়াম করার কতক্ষণ পর খাওয়া উচিত ব্যায়াম করার পর খাবার খাওয়ার সঠিক সময় গুরুত্বপূর্ণ, কারণ সঠিক সময়ে খাবার খেলে শরীর দ্রুত পুনরুদ্ধার হয় এবং পেশী গঠন কার্যক্রম আরও কার্যকরী হয়। সাধারণত, ব্যায়াম করার ৩০-৬০ মিনিটের মধ্যে খাবার খাওয়া উচিত। কেন এই সময়টা গুরুত্বপূর্ণ?
ব্যায়াম করার পর শরীর কিছু পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায়: পেশী টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হয়: আপনার পেশীগুলোর কিছু মাইক্রোস্কোপিক ক্ষতি হয় এবং নতুন পেশী গঠনের জন্য পুষ্টির প্রয়োজন হয়। শক্তির ঘাটতি: ব্যায়ামের সময় গ্লাইকোজেন (শক্তি) ব্যবহার হয়ে যায়, যা পুনরুদ্ধারের জন্য নতুন শক্তির প্রয়োজন।
ব্যায়ামের পর খাবারের উপাদান: প্রোটিন (Muscle Recovery): ব্যায়ামের পর প্রোটিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি পেশী পুনর্নির্মাণে সাহায্য করে। উদাহরণ: গ্রিলড চিকেন, মাছ, ডিম, গ্রীক দই, প্রোটিন শেক।কার্বোহাইড্রেট (Energy Replenishment): ব্যায়ামের পর শক্তির ঘাটতি পূরণের জন্য কার্বোহাইড্রেট খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
উদাহরণ: ব্রাউন রাইস, কুইনোয়া, সাদা আলু, ফল (কলা, বেরি), ওটস। পানি (Hydration): ব্যায়াম করার পর শরীরের পানি এবং ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে পর্যাপ্ত পানি পান করা উচিত। কেন ৩০-৬০ মিনিটের মধ্যে খাবার খাওয়া জরুরি? ব্যায়ামের পর ৩০-৬০ মিনিটের মধ্যে খাবার খেলে আপনার শরীর সেরা উপায়ে পুষ্টি শোষণ করতে পারে।
এই সময়কে বলা হয় "Anabolic Window", যখন শরীর পুষ্টি দ্রুত শোষণ করে এবং পেশী গঠন ত্বরান্বিত হয়। ব্যায়ামের পর ৩০-৬০ মিনিটের মধ্যে খাবার খাওয়া উচিত। এর মধ্যে প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করার চেষ্টা করুন, যাতে পেশী গঠন ও শক্তি পুনরুদ্ধার সঠিকভাবে হয়। সকালে ব্যায়াম করার আগে কি খাওয়া উচিত।
ব্যায়াম করার কতক্ষণ পর গোসল করা উচিত
ব্যায়াম করার কতক্ষণ পর গোসল করা উচিত ব্যায়াম করার পর গোসল করার জন্য সঠিক সময় নির্ভর করে আপনার শরীরের অবস্থা এবং ব্যক্তিগত আরাম অনুযায়ী। তবে, সাধারণত ব্যায়াম করার পর ২০-৩০ মিনিটের মধ্যে গোসল করা সেরা। কেন ২০-৩০ মিনিট পরে গোসল করা উচিত?
শরীর ঠান্ডা হতে দিন: ব্যায়াম করার সময় আপনার শরীর গরম হয়ে যায় এবং রক্ত সঞ্চালন ত্বরান্বিত হয়। একে "cool down" বলা হয়, এবং এটি শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসতে কিছু সময় নেয়। অতিরিক্ত গরম শরীরকে হঠাৎ ঠাণ্ডা পানিতে রাখা শরীরের জন্য ভালো নয়, সকালে ব্যায়াম করার আগে কি খাওয়া উচিত।
কারণ এটি কিছু সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে (যেমন, পেশী কাঁপানো বা স্ট্রেস তৈরি হওয়া)। ঘাম শুষে নিতে দিন: ব্যায়ামের পর শরীরে ঘাম থাকতে পারে এবং এটি শরীর থেকে বের হওয়া প্রয়োজন। গোসল করার আগে ঘাম শোষণ এবং শরীরকে একটু সময় দেওয়া উচিত। পেশী শিথিলতা:
ব্যায়ামের পর পেশীগুলোর পুনরুদ্ধারের জন্য কিছু সময় দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য হালকা স্ট্রেচিং বা কিছু সময় বিশ্রাম নেওয়া ভালো, যা গোসলের আগে করতে পারেন। গোসল করার সময় কিছু পরামর্শ: গরম পানি থেকে ঠাণ্ডা পানি পরিবর্তন: হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করুন, পরে ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করতে পারেন।
যা পেশী শিথিল করতে সাহায্য করবে। ধীরে ধীরে গোসল করুন: খুব তাড়াহুড়া না করে ধীরে ধীরে গোসল করুন, যাতে শরীরের তাপমাত্রা সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ হয়। বিশ্রাম করুন: গোসল করার আগে ৫-১০ মিনিট বিশ্রাম নিলে শরীর অনেক বেশি আরাম অনুভব করবে। ব্যায়ামের পর ২০-৩০ মিনিটের মধ্যে গোসল করা সেরা, যাতে শরীর ঠাণ্ডা হতে পারে এবং পেশী শিথিল হতে পারে।
লেখক এর মতামত
প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেল আপনাদের সাথে আলোচনা মুখ্য বিষয় ছিল সকালে ব্যায়াম করার আগে কি খাওয়া উচিত সাথে আরো আলোচনা করেছি জিম করার আগে কি খাওয়া উচিত পরিপূর্ণ বিবরণ সম্বন্ধে। আশা করি আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনার অনেক ভালো লেগেছে।
আজকের আর্টিকেলটি পরে আপনি কতটুকু উপকৃত হয়েছেন, এবং কোন কোন বিষয়গুলি আপনার ভালো লেগেছে আপনার নিকটস্থ বন্ধুদের সাথে অবশ্যই শেয়ার করবেন। এমনই গুরুত্বপূর্ণ ও শিক্ষানীয় আর্টিকেল প্রতিদিন পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন, আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
রোকন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url