পিরিয়ডের সময় টক খেলে কি হয় মেয়েদের পিরিয়ড
পিরিয়ডের সময় টক খেলে কি হয় এর সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন কিন্তু সঠিক তথ্য পাচ্ছেন না আর সঠিক তথ্য পেতে এবং এর সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা দেখতে আরো মেয়েদের পিরিয়ড কি এর সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
পিরিয়ডের সময় টক খেলে কি হয় মেয়েদের পিরিয়ড কি এর সম্পর্কে বিস্তারিত সবকিছু জানতে নিচের আর্টিকেলগুলি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আশা করি এর সম্পর্কে বিস্তারিত সবকিছু বুঝতে পারবেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ
পিরিয়ডের সময় টক খেলে কি হয়
পিরিয়ডের সময় টক খেলে কি হয় পিরিয়ডের সময় টক খাবার সাধারণত কোনো বড় সমস্যা সৃষ্টি করে না, তবে কিছু নারীর শরীরে কিছু পরিবর্তন দেখা দিতে পারে। পিরিয়ডের সময় হরমোনাল পরিবর্তনের কারণে অনেকেই পেটের ব্যথা, পিরিয়ডের অস্বস্তি বা খাবারের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করতে পারেন।
টক খাবার খেলে পেটের অস্বস্তি বা গ্যাস: টক খাবার খেলে কিছু মানুষ পেটে গ্যাস বা অস্বস্তি অনুভব করতে পারেন, বিশেষ করে যাদের পেটের সমস্যা বা অ্যাসিডিটির প্রবণতা থাকে। এনজাইমের কার্যক্রম টক খাবারের মধ্যে থাকা অ্যাসিড হজম প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে পারে, কিন্তু এই বিষয়টি আপনার শরীরের উপর নির্ভর করে।
শরীরের হরমোনাল প্রতিক্রিয়া: পিরিয়ডের সময়ে শরীরের হরমোনের পরিবর্তন ঘটে, যা টক খাবার খাওয়ার পরে আপনার শরীরে কিছু অস্বস্তির কারণ হতে পারে, যেমন অতিরিক্ত তেষ্টা বা মাথা ঘোরা। পিরিয়ডের সময় টক খেলে কি হয় মেয়েদের পিরিয়ড।
যদি টক খাবার খেলে আপনার পেটে বা শরীরে কোনো সমস্যা অনুভব হয়, তবে আপনি তা পরিহার করতে পারেন। তবে সাধারণভাবে, যদি কোনো বিশেষ সমস্যা না হয়, তাহলে টক খাবার খাওয়া পিরিয়ডের সময় সাধারণত কোনো ক্ষতি করেনা।
আরো পড়ুনঃ জিংক ট্যাবলেট খাওয়ার উপকারিতা ট্যাবলেট এর কাজ কি
মেয়েদের পিরিয়ড কি
মেয়েদের পিরিয়ড কি মেয়েদের পিরিয়ড (বা মাসিক) হল একটি প্রাকৃতিক শারীরিক প্রক্রিয়া, যা মেয়েদের শরীরে ঘটে, বিশেষত প্রজনন বয়সে। এটি মূলত গর্ভাশয়ের (ইউটেরাস) পরিবর্তন এবং হরমোনাল পরিবর্তনের ফলস্বরূপ ঘটে। পিরিয়ডের সময়, প্রতিটি মাসে মেয়েদের শরীর একটি নতুন শারীরিক চক্রের মধ্য দিয়ে যায়।
যা সাধারণত ২৮ দিনব্যাপী, তবে কিছু মেয়ের চক্রে এটি কম বা বেশি হতে পারে। পিরিয়ডের প্রক্রিয়া এনডোমেট্রিয়াল স্তরের গঠন: প্রতিটি মাসে, মেয়েদের শরীরে গর্ভাবস্থার জন্য প্রস্তুতি নেয়ার জন্য গর্ভাশয়ে একটি স্তর তৈরি হয়। এটি ডিম্বাণু (অপূর্বরূপে পরিপক্ক ডিম) গর্ভে প্রবেশ করার জন্য প্রস্তুতি নেয়।
ডিম্বাণু মুক্তি (অভ্যন্তরীণ পিরিয়ড): যখন ডিম্বাণু পরিপক্ক হয়, তখন এটি ডিম্বাশয় থেকে মুক্ত হয়ে মেলানোর জন্য Fallopian টিউবের মধ্যে চলে যায়। এটি "অ ovulation" নামে পরিচিত। যদি এই ডিম্বাণু শুক্রাণুর সাথে মিলিত না হয়, তবে এটি মৃত হয়ে যায়। পিরিয়ডের সময় টক খেলে কি হয় মেয়েদের পিরিয়ড।
মাসিক রক্তপাত (পিরিয়ড): যখন ডিম্বাণু গর্ভে প্রতিস্থাপিত না হয়, তখন গর্ভাশয়ের প্রস্তুত স্তরটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে রক্তসহ শরীর থেকে বের হয়ে আসে। এই রক্তপাতকে মাসিক বা পিরিয়ড বলা হয়। পিরিয়ডের সময় সাধারণত ৩-৭ দিন রক্তপাত ঘটে, যা সাধারণত মাসে একবার হয়।
পিরিয়ডের বৈশিষ্ট্য: বয়স: মেয়েদের সাধারণত ১২-১৬ বছর বয়সে পিরিয়ড শুরু হয়, এবং এটি ৪৫-৫৫ বছর বয়সে শেষ হয় (মেনোপজের মাধ্যমে)। পিরিয়ডের দৈর্ঘ্য: পিরিয়ডের সময় সাধারণত ৩ থেকে ৭ দিন পর্যন্ত হতে পারে। চক্রের দৈর্ঘ্য: প্রতি মাসে পিরিয়ড শুরু হওয়ার সময় থেকে পরবর্তী মাসের পিরিয়ড শুরু হওয়ার মধ্যে ২১ থেকে ৩৫ দিন পর্যন্ত হতে পারে।
পিরিয়ডের সময় শরীরে কিছু পরিবর্তন হতে পারে, যেমন:
- পেটে ব্যথা
- মেজাজে পরিবর্তন
- ত্বকের সমস্যা
- অতিরিক্ত ক্লান্তি
- শরীরে ফুলে যাওয়ার অনুভূতি
এই পরিবর্তনগুলি সাধারণ এবং প্রাকৃতিক, তবে কোনো অসুবিধা বা সমস্যা অনুভব হলে একজন গাইনোকোলজিস্টের সাথে পরামর্শ করা ভালো।
পিরিয়ডের সময় দুধ খেলে কি হয়
পিরিয়ডের সময় দুধ খেলে কি হয় পিরিয়ডের সময় দুধ খাওয়া সাধারণত কোনো সমস্যা সৃষ্টি করে না, তবে কিছু মেয়ের শরীরে কিছু অস্বস্তি বা পরিবর্তন দেখা দিতে পারে। পিরিয়ডের সময় শরীরে নানা হরমোনাল পরিবর্তন ঘটে, এবং দুধ খাওয়ার কিছু প্রভাব হতে পারে, যা কিছু মেয়ের জন্য উপকারী বা অস্বস্তিকর হতে পারে। এখানে কিছু বিষয় আলোচনা করা হলো
দুধের পুষ্টি উপকারিতা: ক্যালসিয়াম: পিরিয়ডের সময় অনেকেই পেটের ব্যথা বা স্নায়ুতন্ত্রের অস্বস্তি অনুভব করেন। দুধে থাকা ক্যালসিয়াম পেশী শিথিল করতে সাহায্য করতে পারে এবং ব্যথা কমাতে সহায়ক হতে পারে। পিরিয়ডের সময় টক খেলে কি হয় মেয়েদের পিরিয়ড।
ভিটামিন ডি: দুধে ভিটামিন ডি থাকে, যা হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। পিরিয়ডের সময় হাড়ের ব্যথা বা শিরায় ব্যথা অনুভব করলে এটি উপকারী হতে পারে। পিরিয়ডের সময় দুধের সাথে কিছু সমস্যা: গ্যাস বা পেটের অস্বস্তি: কিছু মেয়ের পিরিয়ডের সময়ে দুধ খাওয়ার পর গ্যাস বা পেটের অস্বস্তি হতে পারে।
এটি হরমোনাল পরিবর্তনের কারণে হতে পারে, যা হজম প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে। ল্যাকটোজ অপ্রতিরোধিতা: যাদের ল্যাকটোজ অপ্রতিরোধিতা (দুধের চিনির প্রতি অরুচি) থাকে, তারা দুধ খাওয়ার পর পেটে গ্যাস, পেট ফাঁপা বা ডায়রিয়া হতে পারে। পিরিয়ডের সময়ে শরীর আরো সংবেদনশীল হতে পারে, তাই এই সময়ে দুধ খাওয়ার পর সমস্যা বাড়তে পারে।
অতিরিক্ত দুধ খাওয়া এবং হরমোনাল পরিবর্তন হরমোনাল প্রতিক্রিয়া: কিছু মেয়ের পিরিয়ডের সময়ে দুধ বা অন্যান্য খাবারের প্রতি আকর্ষণ বেড়ে যায়। দুধের মধ্যে থাকা কিছু হরমোন শরীরে অনুকূল বা অস্বস্তিকর প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে, তবে এই ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই।
পিরিয়ডের সময় দুধ খাওয়া সাধারণত কোনো বড় সমস্যা সৃষ্টি করে না এবং এতে শরীরের জন্য পুষ্টিকর উপকারিতা থাকে। তবে যদি আপনি দুধ খাওয়ার পর পেটের সমস্যা, গ্যাস বা অস্বস্তি অনুভব করেন, তাহলে হয়তো আপনার পক্ষে এটি পরিহার করা ভালো।
পিরিয়ডের সময় আইসক্রিম খেলে কি হয়
পিরিয়ডের সময় আইসক্রিম খেলে কি হয় পিরিয়ডের সময় আইসক্রিম খাওয়া সাধারণত কোনো বড় সমস্যা সৃষ্টি করে না, তবে কিছু মেয়ের শরীরে কিছু প্রভাব পড়তে পারে, বিশেষ করে হরমোনাল পরিবর্তনের কারণে। নিচে কিছু প্রভাব বা ফলাফল আলোচনা করা হলো
মেজাজের পরিবর্তন: মিষ্টি খাবারের প্রতি আকর্ষণ: পিরিয়ডের সময় শরীরে হরমোনাল পরিবর্তনের কারণে অনেকেই মিষ্টি বা ঠান্ডা খাবারের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করেন। আইসক্রিম খাওয়ার ফলে কিছু নারীর মেজাজ উন্নত হতে পারে, কারণ মিষ্টি খাবার খাওয়ার ফলে শরীরে এন্ডোরফিন (খুশি অনুভূতির হরমোন) নিঃসৃত হয়।
পেটের অস্বস্তি বা গ্যাস: পিরিয়ডের সময় শরীর অনেক সময় বেশি সংবেদনশীল হয়ে থাকে এবং কিছু মানুষ আইসক্রিম খাওয়ার পরে পেটে গ্যাস, ফোলাভাব বা অস্বস্তি অনুভব করতে পারে। এটি আইসক্রিমে থাকা দুধ বা চিনি বা ফ্যাট এর কারণে হতে পারে। পিরিয়ডের সময় টক খেলে কি হয় মেয়েদের পিরিয়ড।
আইসক্রিমের ঠান্ডা গরম তাপমাত্রা পরিবর্তনের কারণেও কিছু নারীর পেটের সমস্যা হতে পারে, যেমন পেট ব্যথা বা পেট ফাঁপা। হরমোনাল প্রভাব পিরিয়ডের সময় শরীরে হরমোনের পরিবর্তন ঘটে, যা শরীরের বিভিন্ন অংশে প্রভাব ফেলতে পারে। যদিও আইসক্রিম খাওয়া থেকে সরাসরি কোনো সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম।
তবুও অতিরিক্ত মিষ্টি বা তৈলাক্ত খাবার খাওয়ার কারণে শরীরের কিছু প্রতিক্রিয়া ঘটতে পারে। চিনির প্রভাব আইসক্রিমে থাকা প্রচুর চিনি পিরিয়ডের সময়ে অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষ করে যদি আপনার গ্যাস, পেট ফাঁপা বা শরীরের ফোলাভাবের প্রবণতা থাকে। চিনির অতিরিক্ত গ্রহণ পিরিয়ডের সময়ে শরীরের জল ধরে রাখার প্রক্রিয়াকে বাড়িয়ে দিতে পারে, যা ফোলাভাব সৃষ্টি করতে পারে।
পিরিয়ডের সময়ে আইসক্রিম খাওয়া সাধারণত কোনো ক্ষতিকর প্রভাব সৃষ্টি করে না, তবে যদি আপনার পেটের সমস্যা, গ্যাস বা অস্বস্তি থাকে, তাহলে আইসক্রিম খাওয়ার পর তা বাড়তে পারে। তাই, আপনি যদি ভালো বোধ করেন এবং মিষ্টির প্রতি আকর্ষণ অনুভব করেন, তবে মাঝে মাঝে আইসক্রিম খাওয়া যেতে পারে, তবে অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত।
পিরিয়ড হলে কি কি সমস্যা হয়
পিরিয়ড হলে কি কি সমস্যা হয় পিরিয়ড (মাসিক) হওয়ার সময় মেয়েদের শরীরে কিছু শারীরিক এবং মানসিক পরিবর্তন ঘটে, যা বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। পিরিয়ডের সময় বেশ কিছু সাধারণ সমস্যা দেখা দেয়, যা হরমোনাল পরিবর্তন, শরীরের ফ্লুড ভারসাম্য এবং অন্যান্য শারীরিক প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলতে পারে। নিচে কিছু সাধারণ সমস্যা আলোচনা করা হলো
পেটের ব্যথা (ডিসমেনোরিয়া) পিরিয়ডের সময় পেটের নিচের অংশে বা পিঠে ব্যথা অনুভব হওয়া খুবই সাধারণ। এটি মূলত গর্ভাশয়ের সংকোচনের কারণে ঘটে, যা মেনস্ট্রুয়াল স্রাব বের করার জন্য প্রয়োজনীয়। প্রথম দিকের ব্যথা: সাধারণত পিরিয়ড শুরু হওয়ার প্রথম ১-২ দিন এই ব্যথা বেশি থাকে।
মেজাজের পরিবর্তন (পিএমএস) পিরিয়ডের আগে এবং চলাকালীন সময়ে অনেকের মেজাজে বড় ধরনের পরিবর্তন আসে। এসময় কিছু নারী অতিরিক্ত রেগে যেতে পারেন বা দুঃখিত অনুভব করতে পারেন। এই অবস্থাকে বলা হয় পিরিয়ড প্রি-সিনড্রোম (পিএমএস)। পিএমএস এর মধ্যে মেজাজের ওঠানামা, বিষণ্নতা, উদ্বেগ, ক্লান্তি এবং অযথা রেগে যাওয়ার প্রবণতা থাকতে পারে।
অতিরিক্ত রক্তপাত (হাই퍼মেনোরিয়া) কিছু মেয়ের পিরিয়ড সময়ের রক্তপাত বেশি হতে পারে, যা তাদের শরীরকে দুর্বল করে ফেলতে পারে। অতিরিক্ত রক্তপাতের ফলে আয়রনের অভাব হতে পারে এবং অ্যানিমিয়া (রক্তস্বল্পতা) হতে পারে। পিরিয়ডের সময় টক খেলে কি হয় মেয়েদের পিরিয়ড।
ফুলে যাওয়া বা পেটে চাপ (ব্লোটিং) পিরিয়ডের সময় শরীরে পানি ধরে রাখার কারণে পেট ফুলে যাওয়া বা চাপ অনুভূত হতে পারে। এটি হরমোনাল পরিবর্তনের কারণে হয়ে থাকে এবং সাধারণত এটি খুব বিরক্তিকর হতে পারে। থাকানো শারীরিক শক্তি বা ক্লান্তি পিরিয়ডের সময় অনেক নারী অতিরিক্ত ক্লান্তি অনুভব করেন।
পিরিয়ড হলে কি কি সমস্যা হয়
হরমোনাল পরিবর্তনের কারণে শরীরের শক্তির স্তর কমে যেতে পারে, ফলে শরীর একদম ক্লান্ত এবং অসুস্থ অনুভব করতে পারে। মাথাব্যথা: পিরিয়ডের সময় হরমোনের পরিবর্তন এবং অন্যান্য শারীরিক পরিবর্তনের কারণে অনেকের মাথাব্যথা হতে পারে। এটি এক ধরনের শারীরিক অস্বস্তি সৃষ্টি করে।
ত্বকের সমস্যা: পিরিয়ডের সময় অনেকের ত্বকে ব্রণ, ফুসকুড়ি বা অন্যান্য ত্বক সমস্যা দেখা দিতে পারে। হরমোনের পরিবর্তন ত্বকের তৈলাক্ততা বাড়িয়ে দিতে পারে, যা এই ধরনের সমস্যা তৈরি করে।অস্বাভাবিক মূত্রত্যাগ (পিরিয়ডের সময় প্রস্রাবের চাপ) পিরিয়ডের সময় অনেক সময় মূত্রথলির উপর চাপ পড়তে পারে।
যার ফলে বেশি মূত্রত্যাগ বা মূত্রনালির সংবেদনশীলতা বেড়ে যেতে পারে। এতে কিছু মানুষ বারবার টয়লেটে যেতে পারেন। অতিরিক্ত তেষ্টা বা খাদ্যের প্রতি আকর্ষণ পিরিয়ডের সময় হরমোনাল পরিবর্তনের কারণে কিছু মেয়েরা অতিরিক্ত খাবার খেতে চান, বিশেষ করে মিষ্টি বা টক খাবারের প্রতি আকর্ষণ বেড়ে যেতে পারে।
বাজারি রোগের প্রবণতা (ইনফেকশন) কিছু নারীর পিরিয়ডের সময় ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এটি গর্ভাশয় বা মূত্রনালির সংক্রমণ সৃষ্টি করতে পারে।
পিরিয়ডের সময় বেশ কিছু শারীরিক এবং মানসিক পরিবর্তন হতে পারে, যা কিছু সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। যদিও এগুলি সাধারণত প্রাকৃতিক, তবে যদি আপনি খুব বেশি অস্বস্তি বা গুরুতর সমস্যা অনুভব করেন, তবে একজন গাইনোকোলজিস্টের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
মেয়েদের পিরিয়ড হলে কি হয়
মেয়েদের পিরিয়ড হলে কি হয় মেয়েদের পিরিয়ড (মাসিক) হলে তাদের শরীরে কিছু শারীরিক এবং মানসিক পরিবর্তন ঘটে। এটি একটি প্রাকৃতিক শারীরিক প্রক্রিয়া, যা মূলত গর্ভাবস্থার জন্য শরীর প্রস্তুত হওয়ার অংশ হিসেবে ঘটে। পিরিয়ডের সময় যা ঘটে তা সাধারণত কিছু নির্দিষ্ট ধাপে বিভক্ত হয়।
গর্ভাশয়ের পরিবর্তন: প্রতিটি মাসে মেয়েদের শরীরে একটি প্রক্রিয়া শুরু হয়, যেখানে গর্ভাশয়ের মধ্যে একটি স্তর তৈরি হয় (এন্ডোমেট্রিয়াম), যা গর্ভাবস্থার জন্য প্রস্তুতি নেয়। যদি ডিম্বাণু নিষিক্ত না হয় (যদি গর্ভধারণ না হয়), তবে এই স্তরটি ধীরে ধীরে ভেঙে গিয়ে রক্তসহ শরীর থেকে বের হয়ে আসে। এটি পিরিয়ড বা মাসিক হিসেবে পরিচিত।
পিরিয়ডের সময় শরীরে পরিবর্তন: পেটের ব্যথা: পিরিয়ডের সময় পেটে বা পিঠে ব্যথা হওয়া খুব সাধারণ। এটি গর্ভাশয়ের সংকোচনের কারণে হয়, যার মাধ্যমে মাসিক রক্ত বের হয়। মেজাজের পরিবর্তন: পিরিয়ডের সময় অনেক সময় মেয়েরা মানসিকভাবে অস্থির বা রেগে যেতে পারেন, যা পিএমএস (পিরিয়ড প্রি-সিনড্রোম) হিসেবে পরিচিত।
এতে উদ্বেগ, ক্লান্তি, বিষণ্নতা বা মেজাজের ওঠানামা দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত রক্তপাত: কিছু মেয়ের পিরিয়ডে অতিরিক্ত রক্তপাত হয়, যা শারীরিক দুর্বলতা এবং আয়রনের অভাব সৃষ্টি করতে পারে।
ব্লোটিং বা ফুলে যাওয়া: শরীরে অতিরিক্ত পানি ধরে রাখার কারণে পেট ফোলা বা চাপ অনুভূত হতে পারে।
মেয়েদের পিরিয়ড হলে কি হয়
পিরিয়ডের সাইকেল: পিরিয়ড সাধারণত ২১ থেকে ৩৫ দিনের মধ্যে হতে পারে। মাসে একবার পিরিয়ড হওয়া স্বাভাবিক, এবং এটি ৩ থেকে ৭ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। হরমোনাল পরিবর্তন পিরিয়ডের সময় হরমোনের পরিবর্তন ঘটে, যা শরীরের বিভিন্ন অংশে প্রভাব ফেলে। যেমন, শরীরের ত্বক, চুল, হাড় এবং মেজাজের উপর।
প্রোজেস্টেরন ও ইস্ট্রোজেন হরমোনের মাত্রার ওঠানামা শরীরের বিভিন্ন অংশে অস্বস্তি তৈরি করতে পারে। শারীরিক অস্বস্তি ক্লান্তি: হরমোনাল পরিবর্তন এবং শরীরের অতিরিক্ত রক্তপাতের কারণে অনেক সময় ক্লান্তি অনুভূত হতে পারে। মাথাব্যথা: পিরিয়ডের সময়ে মাথাব্যথা বা মাইগ্রেন হতে পারে।
ত্বক সমস্যা: পিরিয়ডের সময় ব্রণ বা ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে, যা হরমোনের কারণে হতে পারে।খাবারের প্রতি আকর্ষণ পিরিয়ডের সময়ে অনেক নারীর মিষ্টি বা টক খাবারের প্রতি আকর্ষণ বেড়ে যায়। এটি হরমোনের প্রভাবে হতে পারে, এবং কিছু মেয়ের অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা দেখা দিতে পারে।
পিরিয়ডের সময় শরীরে নানা ধরনের পরিবর্তন এবং অস্বস্তি হতে পারে। এই সব পরিবর্তন সাধারণ এবং প্রাকৃতিক, তবে যদি আপনার শরীরে খুব বেশি সমস্যা বা অসুবিধা হয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। পিরিয়ডের সময় শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে ভালো খাদ্যাভ্যাস, পরিমিত বিশ্রাম এবং পর্যাপ্ত জল পান করা গুরুত্বপূর্ণ। পিরিয়ডের সময় টক খেলে কি হয় মেয়েদের পিরিয়ড।
পিরিয়ড হলে কি খাওয়া উচিত
পিরিয়ড হলে কি খাওয়া উচিত পিরিয়ডের সময় শরীরের বিশেষ কিছু প্রয়োজন থাকে, যা সঠিক পুষ্টি গ্রহণের মাধ্যমে সমাধান করা যেতে পারে। এই সময় শরীরের শক্তির অভাব, পেটের ব্যথা, মেজাজের পরিবর্তন, এবং অন্যান্য শারীরিক সমস্যা হতে পারে। তাই, পিরিয়ডের সময় সঠিক খাবার নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ।
নিচে কিছু খাবারের তালিকা দেওয়া হলো যা পিরিয়ডের সময়ে খাওয়া উচিত ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার পিরিয়ডের সময় পেশী শিথিল করতে ক্যালসিয়াম সহায়ক হতে পারে এবং এটি পেটের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। খাবারে অন্তর্ভুক্ত করুন: দুধ, দই, পনির, শাকসবজি (যেমন পালংশাক), বাদাম, সয়া এবং টোফু।
আয়রন সমৃদ্ধ খাবার: পিরিয়ডের সময় রক্তপাতের কারণে আয়রনের অভাব হতে পারে, যা শরীরকে দুর্বল করে দিতে পারে। আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খেলে এই অভাব পূরণ হতে পারে। খাবারে অন্তর্ভুক্ত করুন: পালংশাক, সসেলের (lentils), মাংস, ডিম, বাদাম, শসা, এবং মসলাযুক্ত খাবার।
ভিটামিন বি৬ সমৃদ্ধ খাবার ভিটামিন বি৬ হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং পিরিয়ডের সময় মেজাজের পরিবর্তন বা বিষণ্নতা কমাতে সাহায্য করে। খাবারে অন্তর্ভুক্ত করুন: কলা, বাদাম, আলু, পেঁয়াজ, সয়াবিন, এবং মাছ। ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার ম্যাগনেসিয়াম পেটের ব্যথা বা মাসিকের সময়ে অস্বস্তি কমাতে সহায়ক। এটি পেশী শিথিল করতেও সাহায্য করে।
খাবারে অন্তর্ভুক্ত করুন: বাদাম, পালংশাক, সয়া, বীজ, কলা, এবং পুরো শস্য (whole grains) ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ওমেগা-৩ শরীরের প্রদাহ কমাতে সহায়ক এবং পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।খাবারে অন্তর্ভুক্ত করুন: মাছ (যেমন স্যামন, ম্যাকেরেল), চিয়া সিড, ফ্ল্যাক্স সিড, এবং আখরোট।
পিরিয়ড হলে কি খাওয়া উচিত
পানি এবং তরল খাবার পিরিয়ডের সময়ে শরীর জল ধরে রাখতে পারে, তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে এবং ব্লোটিং (ফুলে যাওয়ার অনুভূতি) কমাতে সাহায্য করে। খাবারে অন্তর্ভুক্ত করুন: পানি, তাজা ফলের রস, স্যুপ, এবং চা। পিরিয়ডের সময় টক খেলে কি হয় মেয়েদের পিরিয়ড।
ফল এবং শাকসবজি: পিরিয়ডের সময় শরীরকে প্রচুর ভিটামিন এবং মিনারেল প্রয়োজন। ফল এবং শাকসবজি এ ক্ষেত্রে সহায়ক। খাবারে অন্তর্ভুক্ত করুন: আপেল, কলা, কমলা, বেরি, কিউই, শাকসবজি (যেমন পালংশাক, ব্রোকলি, গাজর)। কম চর্বি ও তেলযুক্ত খাবার: পিরিয়ডের সময়ে খাবারে অতিরিক্ত চর্বি বা তেল খাওয়া এড়িয়ে চলুন, কারণ এটি পেটের অস্বস্তি, গ্যাস, বা ব্লোটিং বাড়াতে পারে।
তাজা, স্বাস্থ্যকর খাবার এবং স্যালাড বেশি খাওয়ার চেষ্টা করুন। চিনি এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার কমিয়ে দিন: পিরিয়ডের সময়ে অতিরিক্ত চিনি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার (যেমন প্যাকেটজাত স্ন্যাকস বা ফাস্ট ফুড) শরীরে ফোলাভাব এবং ব্লাড সুগারের ওঠানামা ঘটাতে পারে। তাই, মিষ্টি খাবার এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন।
হালকা ও সহজ খাবার পিরিয়ডের সময়ে পেটের ব্যথা বা অস্বস্তি থাকলে হালকা খাবার খাওয়া উচিত। তাজা ফল, স্যুপ, দই, ভাত এবং সেদ্ধ সবজি খাওয়া ভালো। পিরিয়ডের সময় শরীরকে সঠিক পুষ্টি দেওয়ার জন্য ভালো খাদ্য নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের শক্তি এবং সাস্থ্যের উন্নতি হতে পারে, পাশাপাশি শরীরের অস্বস্তি বা পেটের ব্যথা কমানো যেতে পারে।
মাসিক হলে কি কি করা যাবে না
মাসিক হলে কি কি করা যাবে না মাসিক বা পিরিয়ডের সময় কিছু শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন হয়, এবং কিছু কাজ বা অভ্যাস এমন হতে পারে যা এই সময় এড়িয়ে চলা উচিত। তবে, এটি মনে রাখতে হবে যে মাসিকের সময়ে পুরোপুরি কিছু নিষেধাজ্ঞা নেই, কিন্তু কিছু কাজ বা অভ্যাসের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে বা শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
মাসিকের সময় যা করা উচিত নয়, তা নিয়ে কিছু পরামর্শ দেওয়া হলো ভারী শারীরিক পরিশ্রম বা কষ্টকর ব্যায়াম পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম বা ভারী ব্যায়াম, যেমন জিমের হেভি লিফটিং বা দৌড়ানো, পেটের ব্যথা বা অস্বস্তি বাড়াতে পারে। তবে, হালকা ব্যায়াম যেমন হাঁটাহাঁটি, যোগব্যায়াম বা সাইক্লিং করা যেতে পারে পিরিয়ডের সময় টক খেলে কি হয় মেয়েদের পিরিয়ড।
যেগুলি শারীরিক ব্যথা কমাতে সহায়ক। অতিরিক্ত মিষ্টি বা চিনি খাওয়া পিরিয়ডের সময়ে শরীরে হরমোনের পরিবর্তনের কারণে অনেকের মিষ্টি বা চিনি খাওয়ার প্রতি আকর্ষণ বেড়ে যায়, কিন্তু অতিরিক্ত চিনি খাওয়া পিরিয়ডের সময় পেটের সমস্যা, গ্যাস বা ব্লোটিং বাড়াতে পারে।
অতিরিক্ত চিনি শরীরের রক্তে শর্করার স্তরের ওঠানামা ঘটাতে পারে, যা মেজাজের উপরও প্রভাব ফেলতে পারে। গরম বা ঠান্ডা স্নান খুব গরম বা ঠান্ডা পানিতে স্নান করা পিরিয়ডের সময়ে শরীরের তাপমাত্রা পরিবর্তন করতে পারে, যা শরীরের জন্য অস্বস্তিকর হতে পারে। গরম স্নান পেটের ব্যথা বা ফোলাভাব বাড়াতে পারে।
তবে, সঠিক তাপমাত্রায় স্নান করা সাধারণত ভালো। পিরিয়ডের সময় সাঁতার কাটা (অথবা পাবলিক সুইমিং পুলে যাওয়া) পিরিয়ডের সময়ে সাঁতার কাটতে হলে ভালো মানের স্যানিটারি ন্যাপকিন বা ট্যাম্পন ব্যবহার করতে হয়। তবে, পাবলিক সুইমিং পুলে সাঁতার কাটার সময় ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি থাকতে পারে, তাই এসময় পুলে যাওয়া পরিহার করা উচিত।
মাসিক হলে কি কি করা যাবে না
অতিরিক্ত তেল ও মশলাদার খাবার খাওয়া পিরিয়ডের সময়ে অতিরিক্ত তেল, মশলা বা অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া পেটের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এটি পেটে অস্বস্তি, গ্যাস বা অম্বলের সমস্যা বাড়াতে পারে। অতিরিক্ত কফি বা ক্যাফেইন গ্রহণ কফি বা ক্যাফেইন অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ করলে শরীরে ডিহাইড্রেশন হতে পারে।
যা পিরিয়ডের সময়ে অস্বস্তি বাড়াতে পারে। এছাড়া এটি পেটের ব্যথা এবং অস্বস্তি বাড়াতে পারে। অতিরিক্ত অ্যালকোহল বা তামাক পান করা পিরিয়ডের সময়ে অতিরিক্ত অ্যালকোহল বা তামাক পানের কারণে শরীরে আরও অস্বস্তি সৃষ্টি হতে পারে। এটি হরমোনের ভারসাম্য ব্যাহত করতে পারে এবং পেটের ব্যথা বা মেজাজের পরিবর্তন ঘটাতে পারে।
শরীরের অতিরিক্ত তাপ বা ঠান্ডার সংস্পর্শ পিরিয়ডের সময়ে শরীরের অতিরিক্ত তাপ বা ঠান্ডা তাপমাত্রার সংস্পর্শে আসা শরীরের জন্য অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে। গরমের পানিতে স্নান বা অতিরিক্ত ঠান্ডা পরিবেশে থাকা এড়িয়ে চলা উচিত। পিরিয়ডের সময় টক খেলে কি হয় মেয়েদের পিরিয়ড।
অতিরিক্ত চাপ বা মানসিক অস্থিরতা পিরিয়ডের সময়ে অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা উদ্বেগ শারীরিক অস্বস্তি বাড়াতে পারে। এতে মেজাজের পরিবর্তন, বিষণ্নতা বা উদ্বেগের অনুভূতি আরও বাড়তে পারে।তাই, পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং মানসিক শান্তি বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
হরমোনাল চিকিৎসা (যদি প্রয়োজন না হয়) পিরিয়ডের সময় হরমোনাল চিকিৎসা বা ট্যাবলেট নেওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। অযথা ঔষধ ব্যবহার পিরিয়ডের সময় শরীরের অবস্থার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
পিরিয়ডের সময়ে কিছু কার্যকলাপ বা অভ্যাস এড়িয়ে চলা ভালো, যা শরীরের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে বা অস্বস্তি বাড়াতে পারে। হালকা ব্যায়াম, স্বাস্থ্যকর খাবার, পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং মানসিক শান্তি বজায় রাখার মাধ্যমে পিরিয়ডের সময় সুস্থ থাকা সম্ভব।
লেখক এর মতামত
প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেল আপনাদের সাথে আলোচনা মুখ্য বিষয় ছিল পিরিয়ডের সময় টক খেলে কি হয় সাথে আরো আলোচনা করেছি মেয়েদের পিরিয়ড কি পরিপূর্ণ বিবরণ সম্বন্ধে। আশা করি আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনার অনেক ভালো লেগেছে।
আজকের আর্টিকেলটি পরে আপনি কতটুকু উপকৃত হয়েছেন, এবং কোন কোন বিষয়গুলি আপনার ভালো লেগেছে আপনার নিকটস্থ বন্ধুদের সাথে অবশ্যই শেয়ার করবেন। এমনই গুরুত্বপূর্ণ ও শিক্ষানীয় আর্টিকেল প্রতিদিন পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন, আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
রোকন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url